আজ || শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে আনসার বাহিনীর ধানের চারা বিতরণ       ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের মুটিং সোসাইটির উদ্যোগে মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত       ফেনীতে দলীয় কোন্দল, নেতা-কর্মীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা বিএনপি       ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী যা যা করতে পারবে       ৬০ দিনের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী       ফেনীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, দুই সংবাদকর্মী সহ আহত ১২       ১৪ দিনে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা       কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে আনসার মহাপরিচালকের আমন ধানের চারা বিতরণ       বাহরাইনে দেশীয় সংস্কৃতিতে বিয়ে, উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা!       রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন মুনছুর ভূইয়া    
 


করোনা সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার সঙ্গে সাত জেলার যোগাযোগ বন্ধ

নিউজ ডেস্ক :

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে সাত জেলার যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

সোমবার (২১ জুন) সচিবালয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এক বৈঠকে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও মুন্সিগঞ্জের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এসব জেলা আমরা লকডাউনে নিয়ে নিয়েছি। এসব জেলার মানুষ ঢাকায় ঢুকতে পারবেন না।

ঢাকার সঙ্গে মুভমেন্ট বন্ধ হলে এমনিতেই সারাদেশে কমে যাবে। তিনি জানান, করোনা বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর ও মুন্সিগঞ্জের যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পরে এ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী এবং গোপালগঞ্জ জেলাগুলোর সার্বিক কার্যাবলি/চলাচল জনসাধারণের চলাচলসহ) আগামী ২২ জুন সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

‘এ সময়ে শুধু আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা (যেমন- কৃষি উপকরণ সার, বীজ, কীটনাশক, কষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া, বিদ্যুৎ, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিগুলো, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বর্হিভুত থাকবে।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সব সিনিয়র সচিব এবং সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেকোনো জেলা প্রশাসন মনে করলে সেখানে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবেন। আমরা একেক দিন একে বিভাগের সঙ্গে বসবো।

ঢাকার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা- এক প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ঢাকা আমরা বন্ধ করিনি। ঢাকার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সন্ধ্যায় আমরা আবার বসবো। ভিডিও কনফাররেন্স করবো। দেখা যাক, আগে বসি, তারপর কি হয়। এখানে স্বাস্থ্য রিলেটেড সবাই থাকবেন।

তিনি জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের মংলা, যশোর পৌরসভা, অভয়নগর, শার্শা, ঝিকরগাছা, কুষ্টিয়া সদর, চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা, মেহেরপুরের পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড, মাগুরা পৌরসভা লকডাউন আছে। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশন, নাটোর পৌরসভা ও সিংড়া, বগুড়া পৌরসভা, জয়পুরহাট পৌরসভা, কালাই ও পাঁচিবিবি লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে।


Top